সম্পূর্ণ ফ্রিতে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই ২০২৫
এখন থেকে অনলাইনে মাত্র ১ মিনিটে আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন সম্পূর্ণ ফ্রিতে এবং সহজ উপায়ে। এই আর্টিকেলে থাকা ছবিসহ সহজ গাইডটি অনুসরণ করে everify.bdris.gov.bd থেকে জন্ম সনদ যাচাই ও যাচাই কপি ডাউনলোড করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানুন।
আর্টিকেল জুড়ে যা জানতে পারবেন:
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন
একবার ভেবে দেখুন, আপনার সন্তানের স্কুলে ভর্তির শেষ দিন অথবা নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার জরুরি মুহূর্তে আছেন। দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অবশেষে কাউন্টারে পৌঁছানোর পর কর্মকর্তা আপনার দেওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদটি কম্পিউটারে এন্ট্রি করে বললেন,
“দুঃখিত, আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না।”
একটি মাত্র বাক্য,
কিন্তু আপনার পুরো দিনের পরিশ্রম, আশা এবং পরিকল্পনা এক মুহূর্তে ধুলিসাৎ।
এটাই এখন বাংলাদেশের লাখো মানুষের বাস্তবতা। আমাদের সকলের কাছেই জন্ম নিবন্ধনের সনদ রয়েছে, যেটা অত্যন্ত যত্নে সংরক্ষণ করি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, সেই হাতে লেখা বা পুরনো সনদটি সরকারি অনলাইন ডেটাবেজে আদৌ নথিভুক্ত আছে কি না।
আর এই একটি মাত্র তথ্যের গরমিলের কারণে আটকে যেতে পারে আপনার সন্তানের শিক্ষাজীবন, বিদেশ যাত্রা, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি, এমনকি ব্যাংকিং-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
এই অনিশ্চয়তা এবং শেষ মুহূর্তের হয়রানির ভোগান্তি কতটা যন্ত্রণার, তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন।
কিন্তু যদি এমন হতো,
আপনি বাসা থেকে বের হওয়ার আগেই, মাত্র ১ মিনিটে Birth Certificate Check করে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারতেন যে আপনার বা আপনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম নিবন্ধন সনদটি অনলাইনে আছে কি না?
হ্যাঁ, এটা সম্ভব। এই আর্টিকেলে আমরা ঠিক এই বিষয়টিই আপনাকে দেখাব। আমরা শুধুমাত্র অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটিই তুলে ধরব না, বরং আপনার সনদটি অনলাইনে না থাকলে কী করণীয়, তারও একটি সুস্পষ্ট সমাধান দিবো। So, Stay connected.
জন্ম নিবন্ধন যাচাই কিভাবে করব?
অনেকের ধারণা জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সময় যে আবেদন নাম্বারটি দেয়া হয় সেটি দিয়ে পরবর্তীতে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়। মূলত আবেদন নাম্বার দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই যায় না।
কেননা, সেই আবেদন নাম্বার দিয়ে “জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা চেক” করতে পারবেন। তবে তা দিয়ে কোনো ভাবেই ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা সম্ভব না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে..
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য কি কি লাগে?
এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ২টি তথ্য। সেগুলো হলো:
১) জন্ম নিবন্ধন নাম্বার;
২) উক্ত ব্যক্তির জন্ম তারিখ (yyyy mm dd) ফর্ম্যাটে।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে যা প্রয়োজন
এই দুইটি তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করে সহজেই আপনার সনদ যাচাই করুন।
আপনার ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বরটি দিন।
সঠিক জন্ম তারিখ (বছর-মাস-দিন) ফরম্যাটে লিখুন।
তবে হ্যাঁ, যদি আপনি কোনো কারণে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ভুলে যান তবে nid দিয়ে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার জেনে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যেতে হবে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। সেখানে গিয়ে লগইন করে আপনার প্রোফাইল থেকে আপনার Birth Certificate Number জানতে পারবেন।
তারপর সেই ১৭ ডিজিটের নাম্বার দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার ওয়েবসাইট থেকে চেক করে নিতে পারবেন আপনার জন্ম সনদ। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার পুরো বিষয়টিতে খুব সহজে আপনাকে বুঝাতে নিম্মে ছবি সহ ধাপে ধাপে বুজিয়ে দেয়া হয়েছে।
সহজে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার পদ্ধতি
আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন সনদটি সঠিক কি-না / অনলাইনে লিপিবদ্ধ হয়েছে কি-না, তা যাচাই করার জন্য প্রথমেই চলে আসতে হবে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার ওয়েবসাইটে এরপর নিচের দেয়া ফরমে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জন্ম তারিখ (YYYY – MM – DD) এই ফর্ম্যাটে লিপিবদ্ধ করে ফেলতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই ফর্ম

এরপর আপনাকে একটি নতুন পেজে redirect করা হবে। সেখানে একটি গাণিতিক ক্যাপচা দেখতে পারবেন যা পূরণ করার পর Search নামক বাটনে ক্লিক করলেই আপনার Valid Birth Certificate অনলাইন কপি দেখানো হবে। আর ঠিক এভাবেই আপনি আপনার Jonmo Nibondhon Jachai করতে পারবেন।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম (বিস্তারিত)
পূর্বে Jonmo Nibondhon Jachai করার শর্টকাট টেকনিক দেখিয়েছি। সেটি যদি বুজতে অসুবিধে হয় তবে এবার ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে দেখে নিন কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন সেই বিষয়টি।
ধাপ ১: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইটে প্রবেশ
মাত্র কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করেই আপনি আপনার কিংবা অন্য কারো Jonmo Nibondhon Jachai করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে যেকোনো ব্রাউজার থেকে সার্চ করতে হবে “everify.bdris.gov.bd” এরপর প্রথমে আসা ওয়েবসাইটে ক্লিক করতে হবে। বুঝার সুবিধার্থে নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন।

ধাপ ২: জন্ম নিবন্ধন সনদ নাম্বার দিন
ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর আপনি একটি ছোট ফরম দেখতে পারবেন। এখানে আপনাকে একেক করে ৩টি তথ্য প্রদান করতে হবে। প্রথমটি হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন সনদের ১৭ ডিজিটের নাম্বার।

এখানে আপনি সেই জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি টাইপ করবেন, যেই জন্ম সনদ আপনি যাচাই করতে চাচ্ছেন। এটা সাধারণত ১৭ অংকের হয়ে থাকে। অনেকের ১৬ সংখ্যার হয় যা পুরাতন কিংবা একটি ভুল ছাড়া কিছুনা, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।
ধাপ ৩: জন্ম দিনের তথ্য দিন
এবার দ্বিতীয় ঘরে আপনার জন্ম দিন বসাবেন। এক্ষেত্রে একটি নিদিষ্ট ফর্ম্যাট অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ, যদি আপনার জন্ম সনদে ২০-১২-১৯৯৫ দেয়া থাকে তবে আপনি এখানে ১৯৯৫-১২-২০ লিখবেন।

কারণ হচ্ছে, এখানে YYYY-MM-DD এই ফর্ম্যাট অনুসরণ করা হয় যার অর্থ হলো প্রথমে জন্ম সাল, এরপর জন্ম মাস, সবশেষে জন্ম তারিখ লিখতে হবে। এভাবে আপনার জন্মদিনের তথ্য দিন।
ধাপ ৪: ক্যাপচা পূরণ করুন
জন্ম সনদ ও তারিখ সঠিক ভাবে দেয়ার পর নিচে একটি “অংকের ক্যাপচা” দেখতে পাবেন।

এখানে সংখ্যা দুটি যোগ কত তা প্রশ্ন আকারে দেয়া থাকবে। উক্ত যোগফলের উত্তর যত হবে তার ফলাফল নিচে থাকা বক্সে উঠিয়ে দিবেন। ব্যাস, আপনার কাজ শেষ।

এবার সব তথ্য গুলো আরেকবার মিলিয়ে নিন। সব তথ্য সঠিক ভাবে দেয়ার পর “Search” অপশনে ক্লিক করলেই আপনার জন্ম নিবন্ধন দেখাবে।
ধাপ ৫: জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন
প্রদানকৃত তথ্যের সব কিছু ঠিক থাকেল, ওয়েবসাইটে আপনার জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপিটি দেখানো হবে। এবার আপনি Jonmo Nibondhon Jachai করে দেখতে পারেন সব ঠিক আছে কি-না। এখানে আপনি বেশ কিছু তথ্য দেখতে পারবেন। তথ্য গুলো হলো:
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর (Birth Registration Number)
- নিবন্ধনের তারিখ (Registration Date)
- সনদ ইস্যুর তারিখ (Issuance Date)
- নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম (Name of the Registrar Office)
- নিবন্ধিত ব্যক্তির নাম (বাংলা ও ইংরেজিতে)
- লিঙ্গ (Sex)
- জন্ম তারিখ (Date of Birth)
- জন্মস্থান (Place of Birth)
- পিতার নাম ও জাতীয়তা (Father’s Name and Nationality)
- মাতার নাম ও জাতীয়তা (Mother’s Name and Nationality)
বিষয়টি বুজতে নিম্মের ছবিটি লক্ষ্য করুন।

মনে রাখবেন যদি এখানে কোনো তথ্য দিতে ভুল হয় তবে কিন্তু কোনো রেজাল্ট দেখাবে না বরং এটি জানিয়ে দিবে আপনার তথ্য সঠিক নয়। তবে অনেক সময় জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও তারিখ সঠিকভাবে দেওয়ার পরও “Record Not Found” ম্যাসেজ দেখা যায়। এর পেছনে কারণ হলো সনদটি ডিজিটাইজড না হওয়া।
আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদটি যদি পুরোনো বা হাতে লেখা হয়, তবে সম্ভবত এটি এখনো কেন্দ্রীয় অনলাইন ডাটাবেসে (BDRIS) অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। মূলত ২০১০ সালের আগে ইস্যুকৃত অধিকাংশ সনদই এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে সমাধান হলো:
আপনাকে আপনার মূল সনদটি নিয়ে যে কার্যালয় থেকে এটি ইস্যু করা হয়েছিল (যেমন: ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন), সেখানে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার পুরোনো রেকর্ড তাদের রেজিস্টার বই থেকে খুঁজে বের করে অনলাইন ডাটাবেসে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন, যার পর থেকে আপনি অনলাইনে আপনার সনদটি যাচাই করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড
আপনার স্ক্রিনের সামনে যখন Birth Certificate Online Copy দেখা যাবে, তখন এটিকে ডাউনলোড করার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো “Ctrl+P” ক্লিক করা। তবে আপনি যদি মোবাইল থেকে বের করে থাকেন তবে ব্রাউজারের 3 DOT ( … ) এ ক্লিক করে সেখানে থাকা মেনু গুলো থেকে “Print” লিখাতে ক্লিক করুন।

এরপর উপরে থাকা ছবিটির মত ইন্টারফেস আসবে, যেখানে জন্ম নিবন্ধনের Online Copy টি Save as PDF রেখে Save বাটনে ক্লিক করে দিন। এবং এরই মাধ্যমে আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও অনলাইন কপি ডাউনলোড দুটোই হয়ে গেলো।
মোটকথা, জন্ম সনদের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে, তা হলো:
জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক apps
অফিসিয়ালি সরকারের পক্ষ থেকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য কোনো অ্যাপস বর্তমানে নেই। হ্যাঁ Play Store এ গুটিয়কয়েক অ্যাপ থেকে থাকলেও সেটি মূলত https://everify.bdris.gov.bd সাইটের ওয়েব ভার্সন অ্যাপ। আর যেহেতু সেটা অফিসিয়াল অ্যাপ নয়, তাই সেগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
তাছাড়া ওয়েবসাইটটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেটা কম্পিউটার হোক কিংবা মোবাইল, উভয় ভার্সনেই ভালো ভাবে ব্যবহার করা যায়। তাই অ্যাপ থেকে সরাসরি ওয়েব ভার্সন ব্যবহার করাই ভালো।
অফলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই
যদি আপনার কাছে জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকে বা সনদটি হারিয়ে গিয়ে থাকে, তবে অফলাইনেও যাচাই করার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে, আপনাকে যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস থেকে সনদটি ইস্যু করা হয়েছিল, সেখানে স্বশরীরে উপস্থিত হতে হবে।
সেখানে গিয়ে আপনার নাম, পিতার নাম এবং আনুমানিক জন্ম সাল জানালে সেখানকার কর্মকর্তারা তাদের পুরাতন রেজিস্টার বই বা স্থানীয় ডাটাবেস থেকে আপনার তথ্য খুঁজে বের করে দিবে । যদিও এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অফিসের সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।
আপনি যদি ঢাকার বাসিন্দা হয়ে হোন, আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে যান তবে উপরে উল্লেখ্যিত প্রসেসটিই অনুসরণ করতে হবে। আর যদি আপনি ঢাকার দক্ষিণ দিক, অর্থাৎ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে যান সেখানেও একই নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
ইংরেজি জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার নিয়ম
অনেকেরই বিভিন্ন ধরণের কাজ যেমন: পাসপোর্ট তৈরি বা নবায়ন করা, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করা, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদির জন্য জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি ভার্সনে থাকা চাই। এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি আছে কিনা যাচাই করা খুব জরুরি।
এক্ষেত্রে আপনি একই ভাবে, একই নিয়মে জন্ম নিবন্ধন চেক করবেন যেমনটা উপরে ইতিমধ্যে উল্লেখ্য রয়েছে। তবে ইংরেজি ভার্সন আছে কি-না তা বুঝার উপায় কি সেটি জানিয়ে দিচ্ছি।
যদি আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য ইংরেজিতে ডাটাবেজে যুক্ত করা থাকে, তাহলে ফলাফলে আপনার নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং ঠিকানা বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই দেখানো হবে। যেমন Registered Person’s Name-এর নিচে ইংরেজি নাম দেখতে পেলেই বুঝবেন আপনার সনদের ইংরেজি ভার্সন রয়েছে।
আর যদি ফলাফলে শুধুমাত্র বাংলা তথ্য দেখতে পান এবং ইংরেজির ঘরগুলো খালি থাকে, তার মানে আপনার নিবন্ধনের সময় ইংরেজি তথ্য যোগ করা হয়নি। অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি ভার্সনে নেই।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই সংক্রান্ত সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর (FAQ)
নিচে পাঠকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া হলো:
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই কিভাবে করব?
আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে যেকোনো ব্রাউজার থেকে everify.bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে সার্চ করার মাধ্যমে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd বলতে কি বুঝায়?
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার সময় জন্ম তারিখ লেখার জন্য (YYYY-MM-DD) ফরম্যাটটি ব্যবহার করা হয়। এখানে YYYY বলতে Year, MM বলতে Month, DD বলতে Day বা দিন বোঝায়। অর্থাৎ আপনার জন্ম তারিখ যদি ২৫ এপ্রিল, ১৯৯৫ হয়, তবে আপনাকে ফর্মে লিখতে হবে 1995-04-25।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে কত টাকা লাগে?
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেবা। এর জন্য কোনো প্রকার সরকারি ফি বা টাকা লাগে না। আপনি যতবার প্রয়োজন, ততবার বিনামূল্যে যাচাই করতে পারবেন।
nid দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়?
না, সরাসরি জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID নম্বর ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা বর্তমানে চালু নেই। জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ অবশ্যই প্রয়োজন হবে। তবে NID কার্ডের সাহায্যে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার জানতে পারবেন।
নাম দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা যায়?
না, শুধু নাম ব্যবহার করে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে, আপনি যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি না জানেন, সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। সেখানে থাকা রেজিস্টার বা ডাটাবেজ থেকে তারা আপনার নাম ও পিতা-মাতার নাম দিয়ে তথ্য খুঁজে বের করতে সহায়তা করতে পারবে।
চূড়ান্ত মন্তব্য
আশা করি, এই বিস্তারিত আলোচনা এবং ধাপে ধাপে নির্দেশিকা অনুসরণ করে আপনিও মাত্র ১ মিনিটেই আপনার বা আপনার পরিবারের যেকোনো সদস্যের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন। আমরা দেখেছি, কিভাবে একটি ছোট অনলাইন ভেরিফিকেশন আপনার মূল্যবান সময়, শ্রম এবং অর্থ বাঁচাতে পারে এবং শেষ মুহূর্তের অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা থেকে আপনাকে মুক্ত রাখতে পারে।
হাতে থাকা পুরোনো সনদটি ডিজিটাল ডাটাবেজে আছে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকার দিন শেষ। এই আর্টিকেলে দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে শুধু যাচাই করাই নয়, বরং অনলাইনে তথ্য না পাওয়া গেলে করণীয় কী, সেই সমাধানও এখন আপনার জানা।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড করতে গিয়ে যদি কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে নিচে থাকা “Comment” বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত লিখে আমাদের জানাতে পারেন আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করব।
Leave a Reply